পুলিশ সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষন কর্মসূচীর উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যের পদমর্যাদা ভিত্তিক প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত নায়েক ও কনস্টেবলদের "দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স" এর ২য় ব্যাচের শুভ উদ্বোধন করেন সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম।

মোঃ জাহিদুল ইসলাম পুলিশের সকল সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পর্কে বলেন, পুলিশের প্রত্যেক সদস্যের বছরে একবার প্রশিক্ষণের আয়োজন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনানুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল হতে অতিরিক্ত আইজি পর্যন্ত প্রত্যেক পুলিশ সদ‌স্যের জন্য বছরে ন্যূনতম একবার প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা আরও বাড়বে।

পুলিশ সুপার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সকল প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত কোর্সের বাইরে এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকল প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে একযোগে আজ এ প্রশিক্ষণ শুরু হল। এ বছর আমরা ৬০ হাজার পুলিশ সদস্যের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আগামী বছর ২ লাখ ১২ হাজার পুলিশ সদস্যদের প্রত্যেকের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।

তিনি বলেন, প্রত্যেক পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের জন্য আলাদা আলাদা প্রশিক্ষণ কোর্স, মডিউল এবং প্রশিক্ষক থাকবেন। কনস্টেবল থেকে অ্যাডিশনাল আইজি পর্যন্ত সকল পুলিশ সদস্য এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবেন। ২০৪১ সালের আধুনিক ও উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ প্রশিক্ষণ মাইলফলক হিসেবে সংযোজিত হবে।

উল্লেখ্য, কনস্টেবল হতে অতিরিক্ত আইজি পদমর্যাদার প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের বছরে এক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রশিক্ষণ কোর্স প্রস্তুত করা হয়েছে।

এএসপি এবং তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি (বিপিএ), সারদা, রাজশাহীতে, সাব-ইন্সপেক্টর হতে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বিপিএ, টিডিএস, টিটিএস, এসটিএস, পিএসটিএস সহ সকল পিটিসি ও ডিএমপি ট্রেনিং একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে।

কনস্টেবল, নায়েক এবং এএসআই পর্যায়ের প্রশিক্ষণ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের তত্ত্বাবধানে ৫৫ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কুমার দাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যগণ।