ঘর ও দেয়ালে আটকা রাস্তা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম সেওতা গ্রামে মসজিদে যাতায়াতের রাস্তা ঘর আর দেয়ালে আটকে রেখেছেন স্থানীয় দুই ব্যক্তি। এতে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রামের মানুষজন। এর প্রতিবাদে স্থানীয়রা গতকাল রোববার দুপুরে মানববন্ধন করেছেন। তারা রাস্তাটি থেকে প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করে চলাচলের সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান। 

মানববন্ধন চলাকালে স্থানীয়রা জানান, পশ্চিম সেওতা পাকা রাস্তা থেকে আকতার হোসেন ও হাসেম আলী নামে দুই ব্যক্তির জমির সীমানার মধ্য দিয়ে একটি পায়ে হাঁটার রাস্তা রয়েছে। নূরে মদিনা জামে মসজিদসহ গজারী চকে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। একাধিবার স্থানীয় কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে জমি মেপে মানুষজনের চলাচলের জন্য ৪ ফুট রাস্তা নির্ধারণ করা হয়। ওই রাস্তা দিয়ে মানুষজন হেঁটে চলাচল করে আসছে। কিন্তু গত শনিবার হঠাৎ ওই রাস্তার মুখে হাসেম আলী টিন দিয়ে একটি দোকানঘর নির্মাণ করেন। এতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আগে থেকেই রাস্তাটির অর্ধেক আটকে রেখেছে আকতার হোসেনের একটি সীমানাপ্রাচীর। জনসাধারণের নিরাপদ চলাচলের স্বার্থে রাস্তাটি উন্মুক্ত করার দাবি জানান গ্রামবাসী।

এ ব্যাপারে আকতার হোসেন বলেন, আমাদের দুই পরিবারের জমির মাঝখান দিয়ে পূর্বপুরুষরা মানুষজনের চলাচলের জন্য একটি রাস্তা দিয়েছেন। ওই রাস্তা দিয়ে স্থানীয় মানুষজন চলাচল করে। কয়েক মাস আগে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে দুই পরিবারের সমঝোতার ভিত্তিতে ৪ ফুট চওড়া ও ১৬৫ ফুট লম্বা একটি রাস্তা স্থানীয় মানুষজনের চলাচলের জন্য নির্ধারণ করে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়। কিন্তু প্রতিবেশী হাসেম আলী গত শনিবার ৪ ফুট রাস্তার মধ্যে তার ছেড়ে দেওয়া দুই ফুট দখল করে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করেছেন। এ নিয়ে স্থানীয় মানুষজন ক্ষুব্ধ হয়ে রোববার মানববন্ধন করেছেন। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় মানুষজনের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে বিষয়টি সমাধানের জন্য বসা হবে। 

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হাসেম আলী মোবাইল ফোনে কল করলেও তা বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মানিকগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আজাদ হোসেন জানান, দুই পরিবারের জমির সীমানার মধ্য দিয়ে পায়ে হাঁটার ওই রাস্তাটি বহু বছরের পুরোনো। ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন যাদু, সাবেক কাউন্সিলর খৈমুদ্দিনসহ স্থানীয় লোকজন মিলে দুই পরিবারের সীমানার মধ্য দিয়ে ৪ ফুট চওড়া একটি পায়ে হাঁটার রাস্তা নির্ধারণ করে সীমানা পিলার দেওয়া হয়। কিন্ত আকতার হোসেন তাঁর জমি ছেড়ে না দেওয়ার কারণে এতদিন মানুষজন হাসেমদের জমির ওপর দিয়ে চলাচল করেছেন। শনিবার হাসেম আলী তাঁর ছেড়ে দেওয়া জমিতে ঘর নির্মাণ করেন। অন্যদিকে আকতারদের জমির সামনে একটি পাকা সীমানাপ্রাচীর রয়েছে। ফলে ওই রাস্তা এখন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মানুষজন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছেন না। ওই সীমানাপ্রাচীর অপসারণ করা হলে মানুষজন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবেন।