প্রধানমন্ত্রীকে '৭৫' মনে রাখার বক্তব্য প্রত্যাহার করলেন মিনু, দুঃখ প্রকাশ

রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের বক্তব্যে নিয়ে বিএনপির চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আজ রবিবার এক বিবৃতিতে তিনি গত ২ মার্চ মঙ্গলবার রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের বক্তব্যে নিয়ে ষড়যন্ত্র না খুঁজতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক
নাজমুল হক ডিকেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে রাজশাহি সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র ও
বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনুর বলেছেন, ভোট জালিয়াতির প্রতিবাদ, নতুন নির্বাচন কমিশন,
তত্বাবধায়ক সরকার পূনর্গঠনের দাবি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার
দাবিতে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে আসতে
বাঁধা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেরর লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর
অংশ হিসাবে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে আমার বক্তব্যের জন্য যারা ব্যথিত হয়েছেন, মর্মাহত
হয়েছেন, আমি তাদের নিকট দুঃখ প্রকাশ করছি। ওইদিন সমাবেশ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন যেভাবে
সর্বসাধারণকে সমাবেশে আসতে বাঁধা প্রদান করেছে তা নজিরবিহীন। সকল যানবহন, এমনকি খাবারের
দোকানও বন্ধ ছিল। যা ইতিপূর্বে রাজশাহীতে ঘটেনি। এর বাইরেও নেতাকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি
করা হয়েছে।
মিনু বলেন, আমি এই মহানগরীতে জন্মগ্রহণ
করে দীর্ঘদিন রাজশাহীবাসীকে নিয়ে রাজনৈতিক নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। স্বৈরাচার
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনসহ সকল আন্দোলনে পাশে পেয়েছি জনগণকে। সুতরাং কোনো ব্যক্তি বিশেষ
বা গোষ্ঠী বিশেষের উদ্দেশে আক্রোশমূলক বক্তব্য প্রদান করা আমার স্বভাব বহির্ভূত। তাই
সকলকে আমার বক্ত্যব্যে ষড়যন্ত্র না খোঁজার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, মিজানুর রহমান মিনুর ওই বক্তব্যের
পর রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে
পরের দিন ৩ মার্চ বিক্ষোভ সমাবেশও করা হয়। সমাবেশ থেকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে মিজানুর
রহমান মিনুকে ক্ষমা চেয়ে সেই বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য বলা হয়। আর সেটি করা না হলে
তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলারও ঘোষণা দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে আজ মিনু
ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।








