শুরুতে লেনদেনে ধীরগতি

বুধবার লেনদেনের শুরুতে
শেয়ারবাজারে সূচকের কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও লেনদেনে বেশ ধীরগতি।
সেইসঙ্গে দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
তবে দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় রয়েছে বেশি
প্রতিষ্ঠান।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৪
শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে
১২ পয়েন্ট। আর লেনদেনে হয়েছে ১৫০ কোটি টাকার কিছু বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক
এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-ও মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। তবে এ বাজারটিতেও লেনদেনে
ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস
ঊর্ধ্বমুখী থাকে শেয়ারবাজার। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসেই সূচক বাড়ে।
তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম লেনদেনের দিন বা সোমবার বড় দরপতন হয়।
ডিএসইর প্রধান সূচক ১১৯ পয়েন্ট পড়ে যায়। আর মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে সূচকের
বড় উত্থান হলেও শেষ পর্যন্ত সূচক বাড়ে ১ পয়েন্টের কম। সেইসঙ্গে লেনদেন কমে দুই
মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়।
এ পরিস্থিতিতে বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি
প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই
ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
এরপর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমলেও ঊর্ধ্বমুখী ধারা
অব্যাহত রয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৮ মিনিটে ডিএসইতে ৯৩টি
প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে
৪৫টির। আর ১৪৬টির দাম অপরিবর্তিত।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক
বেড়েছে ১ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়েছে। এ সময় পর্যন্ত
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৯১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক
সিএএসপিআই ৩৫ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ
নেওয়া ৭৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩২টির, কমেছে ১৭টির এবং অপরিবর্তিত
২৬টির।








